ই-লার্নিংয়ে নতুন চমক স্কিল ইউনিভার্সিটি
ই-লার্নিংয়ে নতুন চমক স্কিল ইউনিভার্সিটি
বর্তমান বিশ্বে প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থার বাইরে ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ই-লার্নিং শিক্ষা ব্যবস্থা। ইন্টারনেটের মাধ্যমে সরাসরি ক্লাস কিংবা কোনো বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করার পদ্ধতিই হলো ইলেকট্রনিক লার্নিং বা ই-লার্নিং।
কম্পিউটার বা স্মার্ট ফোনের সঙ্গে ইন্টারনেট সংযোগ থাকলে বিশ্বের যেকোনো জায়গায় বসেই যেকোনো বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করা এখন সম্ভব।
ই-লার্নিং প্রতিষ্ঠান স্কিল ইউনিভার্সিটিতে রাখা হয়েছে দক্ষতা উন্নয়ন সহায়ক বিভিন্ন সময়োপযোগী আন্তর্জাতিক মানের কোর্স। প্রয়োজনীয় সব বিষয়ে মানুষকে দক্ষ করে তোলাই স্কিল ইউনিভার্সিটির লক্ষ্য। প্রাথমিকভাবে তিনটি ক্যাটাগরিতে স্কিল ইউনিভার্সিটি তাদের কোর্সগুলো সাজিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- রেগুলার, প্রিমিয়াম ও সিগনেচার ক্যাটাগরি। রেগুলার ক্যাটাগরিতে থাকবে রেকর্ডেড ক্লাস এবং বেসিক সাপোর্ট। প্রিমিয়াম ক্যাটাগরিতে অংশগ্রহণকারিদের জন্য ভিডিও রেকর্ডেড কোর্সের পাশাপাশি থাকবে একজন দক্ষ মেন্টর। সিগনেচার ক্যাটাগরিতে সরাসরি স্বনামধন্য প্রশিক্ষকদের দিয়ে কাজ শেখানো হবে। পাশাপাশি অংশগ্রহণকারীদের ফ্রিল্যান্সিংসহ বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রিতে ক্যারিয়ার গড়তে সহযোগিতা করবে স্কিল ইউনিভার্সিটি।
স্কিল ইউনিভার্সিটি তাদের ই-লার্নিং কার্যক্রমে এনেছে আধুনিকতা। ফলে ম্যানুয়ালি কোনো লেনদেনের প্রয়োজনীয়তা থাকছে না এখানে। আন্তর্জাতিক মানের সেবা সরবরাহের পরিকল্পনা রয়েছে স্কিল ইউনিভার্সিটির। খুব শীঘ্রই কোর্সগুলো লঞ্চ করবে এই ই-লার্নিং প্রতিষ্ঠান।
করোনা পরবর্তীতে স্কিল ইউনিভার্সিটি নতুনরুপে আসলেও এর পেছনে রয়েছে ২০১৮ সালে বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের (বিডিওএসএন) উদ্যোক্তা সম্মাননা প্রাপ্ত ডিজিসফট টেকনোলজিস। রয়েছে দক্ষ প্রশিক্ষক ও অভিজ্ঞ দল। সুদূর পরিকল্পনা নিয়ে আগানো স্কিল ইউনিভার্সিটি হতে পারে ই-লার্নিংয়ে নতুন চমক।
বাংলাদেশ সরকারের আইসিটি ডিভিশনের অধিনে চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে ইতোমধ্যে স্কিল ইউনিভার্সিটি অফিশিয়াল অনুমোদন পেয়ে কাজ শুরু করেছে।
স্কিল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ শাহাদাত হোসাইন রিয়াদ বাংলানিউজকে বলেন, স্কিল ইউনিভার্সিটিতে সবাই শেখার এবং শেখানোর সুযোগ পাবে। সেভাবেই আমাদের পরিকল্পনা ও কার্যক্রমগুলো সাজানো। স্কিল ইউনিভার্সিটির সব কার্যক্রম অনলাইন ভিত্তিক এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিচালিত হবে। এখানে দক্ষদের সব ধরণের স্কিল শেয়ারিংয়ের সুযোগ রয়েছে। যে যেই বিষয়ে দক্ষ, সে ঐ বিষয়টাকে কোর্স আকারে সাজিয়ে স্কিল ইউনিভার্সিটির ওয়েবসাইটে পাবলিশ করতে পারবে। আমাদের শর্তগুলো পূরণ হলে আমরা কোর্স অনুমোদন করবো। এছাড়া আমরা যেসকল পেমেন্ট গেটওয়ে ব্যবহার করছি, সেগুলো বিশ্বস্ত এবং বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক অনুমোদিত। তিনি বলেন, স্কিল ইউনিভার্সিটি দেশের তরুণদের দক্ষ করে গড়ে তোলার পাশাপাশি বেকারত্ব সমস্যা সমাধানে ভূমিকা রাখবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানে স্কিল ইউনিভার্সিটি সরকারের সহযোগী হিসেবে কাজ করে যাবে।